বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী সায়েম জামিল তালুকদার লন্ডন বার্মিংহাম শহরের স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবায় কর্মরত ডাক্তার নার্স সহ এই পেশায় জড়িত অন্যান্য সবাইকে রেস্টুরেন্টে থেকে নিজ হাতে রান্না করা খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন করোনা কালীন সময়ে।এতে সরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের উপর সন্তুষ্ট হয়ে বিশ্বনাথের কৃতিসন্তান সায়েম জামিল তালুকদার কে সংবর্ধনা প্রধান করে। এসময় সম্মাননা ও সার্টিফিকেট প্রদান করে কর্তৃপক্ষ।এছাড়া আরো কয়েক জন কে অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা প্রধান করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন থেকে লন্ডন বার্মিংহাম শহরের বসবাস করে আসছেন।তিনি লন্ডন বার্মিংহাম শহরের স্থানীয় বাঙালী কমিউনিটির সাথে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড করে অনেক বার প্রশংসিত হয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য তিনি নিজ হাতে রান্না করা খাবার লন্ডন বার্মিংহাম শহরের গভীর রাতে ভাসমান মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করেছেন।বিশেষ ভাবে করোনা কালীন সময়ে দেশে এবং বিদেশে অনেক মানুষদের কে সাহায্য ও সহযোগী করেছেন।এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশে বসবাসরত সায়েম জামিল তালুকদারের আপন ছোট ভাই তরুণ উদ্যোক্তা এবং নাট্যকার ও অভিনেতা সিলেট ফ্রিডম ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক মো ইমতিয়াজ কামরান তালুকদার বলেন,আমার বড় ভাইঅনেক ছোটবেলা থেকেই মানুষকে উপকার করে আসছেন আমার দেখা মতে। উনি আমাদের নিজ এলাকার বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী আট নং দশঘর ইউনিয়নের ছয় নং ওয়ার্ডের তালুকদার ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে প্রতি বছর সাহায্য ও সহযোগী করে আসছেন। তিনি গরীব অসহায় মানুষের বন্ধু। এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাতে বাংলাদেশে বসবাসরত সায়েম জামিল তালুকদারের মাতা বিশিষ্ট সমাজ সেবিকা ও তালুকদার ফাউন্ডেশন প্রতিষ্টাতা সভাপতি শেখ সালেহা বেগম বলেন,আমার ছেলে সেই ছোটবেলা থেকে অনেক মেধাবী এবং পরোপকারী।আমার ছেলে ছোটবেলা থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা কালীন সময়ে সে মানুষকে সাহায্য করে আসছে।বিশেষ করে যখন সে মাদ্রাসা পড়াশোনা করতো,তখন মাদ্রাসা এতিমখানায় ছোট্ট শিশুদের বাসায় রান্না করা ভালো মানের খাবার দেওয়ার জন্য বাসা থেকে টিফিন ক্যারিয়ারে মাধ্যমে তাদেরকে নিয়ে দিয়ে আসতো।এবং তাদের কে অনেক সময় আম,কাঠাল,অন্যানা ফলমুল আমের আচার,শুঁটকির ভর্তা এগুলা তাদের কে দিত।বিশেষ করে রমজান মাসে এতিম শিশুদের ইফতার সামগ্রী ও মসজিদে খাবার দেওয়া তার মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য। আমার সন্তানে সাফল্য অর্জনে আমি অনেক খুশি।